সচেতনতা : সাইবার সিকিউরিটি ও পর্ণগ্রাফি

সচেতনতা : সাইবার সিকিউরিটি ও পর্ণগ্রাফি

বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় পর্ন দর্শক ক্রমেই বেড়ে চলছে। অনেক সময় পর্ন দেখাটাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে,  যা নেশায়-আসক্তিতে পরিণত হচ্ছে। এর ফলে বাক্তির নৈতিক ও আচারনগত পরিবর্তন হতে পারে, শুধু তাই নয় সাইবার সিকিউরিটিতে পর্ন বা পর্ন প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে, সাইবার অপরাধী বা হ্যাকাররা কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে ভিকটিমে পরিণত করতে পারে।  

পর্ন আসক্তিতে আসক্ত বাক্তির সামাজিক মূল্যবোধ,সৃষ্টিশীলতা, সৃজনশীলতা হারাচ্ছে, মস্তিষ্কের গ্রহণ ক্ষমতা কমছে ও স্মৃতিশক্তির ওপর খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সর্বপরি বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অশ্রদ্ধা বাড়ছে, ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ইতিমধ্যে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ প্রণীত হয়েছে।

এর আওতায় পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, বহন, সরবরাহ, ক্রয়, বিক্রয়, ধারণ বা প্রদর্শন  ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সাধারণত কেউ যদি অনলাইনে কোন পর্ন ওয়েব বা স্ট্রিমিং সাইটে যায় তাহলে সেই কম্পিউটার ব্যবহারকারী অনাকাংখিত ও চটকদার বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হতে পারেন। এই বিজ্ঞাপনের বেশির ভাগই click-bait (চটকদার তথ্য দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ এবং কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে একটি নির্দিষ্ট ওয়েব লিঙ্কে ক্লিক করতে উৎসাহিত করা)। সাধারণত পর্ন সাইটগুলিতে মূলধারার সংস্থাগুলি বিজ্ঞাপন দেয় না তাই সাইবার-স্ক্যামারদের একটা বড় অংশ পর্ন সাইটগুলিতে চটকদার click-bait বিজ্ঞাপন/অ্যাড দেয়।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই click-bait ম্যালওয়্যার ডিস্ট্রিবিউশন ওয়েব সাইটে নিয়ে যায় এবং অনেক ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারকারী র‌্যানসমওয়ার, অ্যাডওয়্যার, ব্রাউজার হাইজ্যাকার্স দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

সাইবার সিকিউরিটি গবেষক কনরাড লংমোরের মতে, পর্ন ওয়েব সাইটগুলিতে ব্রাউজ করার সময় ম্যালওয়ার দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভবনা অনেক বেড়ে যায়, অনেক ক্ষেত্রে ৫০% এর বেশি।

সতর্কতামূলক পদক্ষেপ:

১) নৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এবং পর্ন সাইট ভিজিট না করা।

২) পিতা-মাতা কেডিজিটাল ডিভাইসে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল এনাবল করা এবং প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের মাধ্যমে শিশুদের জন্য আপত্তিকর বা অনুপযুক্ত হতে পারে এমন ওয়েব সাইট ব্লক কন্টেন্ট ফিল্টার করা যেতে পারে।

৩ অনেকক্ষেত্রে অতিরিক্ত পর্ণ দেখা,  নেশায়-আসক্তিতে পরিণত হয় যা পরবর্তীতে মানসিক অবক্ষয় ঘটায়। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যেন পর্নোগ্রাফি আসক্তির ভয়াবহতায় সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারেন, সেজন্য সচেতন হতে হবে।

৪) সবসময় নিরাপত্তার সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজ করা । অযাচিত বা সন্দেহজনক লিঙ্ক , ফাইল বা সংযুক্তিতে ক্লিক না করা।

৫) কম্পিউটার সিস্টেমে প্রতিষ্ঠিত (renowned ) অ্যান্টি-ভাইরাস ব্যবহার করা ও সবসময় অ্যান্টি-ভাইরাস ও কম্পিউটার সিস্টেম হালনাগাদ করা। পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা।

Reference:

https://blog.dynamoo.com/2013/04/top-porn-sites-lead-to-malware.html

Share